সবজি উৎপাদনে বাগেরহাট জেলা সুপরিচিত।ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ জেলার উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করা হয়। বাগেরহাটের চিতলমারী এখন সবজি উৎপাদনে জেলার অন্যতম উপজেলা।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটো একটি ফল হলেও সারা পৃথিবীতে টমেটো সবজি হিসাবে পরিচিত।ভিটামিন ,আমিষ, খনিজ লবন সমৃদ্ধ টমেটো সবজি ও সালাদ হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত।টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum lycopersicum. টমেটো শীতকালিন ফসল হলেও এর কয়েকটি জাত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল অর্থাৎ সারা বছর চাষ হয়।তার ধারাবাহিকতায় চিতলমারীর চাষীরা টমেটোর বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন করছে।আগাম সবজি উৎপাদন না করতে পারলে কৃষকদের ক্ষতির সন্মূখীন হতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এরই মধ্যে অনেক চাষি টমেটোর বীজ বপন করেছে ।বাকি যারা আছে তারা সবাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত টমেটোর চারা তৈরি করার জন্য।
এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বাবুয়ানা গ্রামের টমেটো চাষি অসিত বাড়ৈ,নিতাই ব্যাপারী,লড়ারকূলের মিলন,সোহরাব শেখ,সিরাজ মোল্লা,কাটিপাড়ার ফুল কাজী,সন্তোষপুরের দেবদুলাল ,শচীন মজুমদার,রাসমেহেন মালাকার,রবীন ঘরামী,চৌদ্দহাজারীর কৃষ্ণ হালদার সহ ডাকাতিয়া,সাহসপুর,উমাজুড়ি,কীর্তনখালী,রায়গ্রাম,সুড়িগাতী গ্রামের চাষিদের সাথে। অনেকের চারা বড় হয়ে গেছে আবার কেহ বীজ চারা উৎপাদসের জন্য ফেলেছে। সন্তোষপুর গ্রামের শিশির মজুমদার বলেন শুনেছি কারো চারা রোপন করার মতো হয়ে গেছে তবে আমার চারা গজিয়েছে।এতো আগাম বীজ বপনের কারন জানতে চাইলে বলেন,আগে টমেটো বাজারজাত করেতে না পারলে পয়সা পাওয়া যায় না।এমন এক সময় আসে ব্যাপারিরা ১টাকা কেজি দরে টমেটো কিনতে চায়না।গাছে টমেটো থাকে কিন্ত আমরা বিক্রি করতে পারিনা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বাজারে বিভিন্ন কম্পানির টমেটো বীজ আছে। তবে আগাম গাছে ফল আসে বিউটিফুল১ও২মিন্টু সুপার ,লাভলী।মাঝামাঝি ফল আসে হাইটম,বিপুলপ্লাস সহ অনেক জাত।এ বছর চিতলমারীতে ১৫০০থেকে ১৬০০একরের মতো ভিটা ও ঘেরের পাড়ে আগাম টমেটো চাষ হতে পারে।শশা গাছ তুলে ফেলে চাষ কররে টমেটোর।কৃষি অফিস ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তার মধ্যে লাভলী১৩০-১৪০ একরে,বিউটিফুল ১ও২ জাত৩০০-৩ ৫০ একেরে,মিন্টু সুপার৫০ একরে,হাইটম৬০০ একরে,চক্র১০০একরে ,বিজলী১৫ একরে,বিপুলপ্লাস৮০ -৯০একরে ,পানপাতা ২৩০একরে ,বাম্পার১৫একরে,মেজর১০০ একরে ,বাহুবলী-২জাত৭৫একরেএবং অন্যান্য জাতের৫০ একর হতে পারে। ,সন্তোষপুর ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার রঞ্জন কুমার বলেন,টমেটো শীত কালিন ফসল হলেও চাষীরা বর্তমানে আগাম চাষ করে। এতে রোগ বালাইয়ের আক্রমন বেশী থাকে। তবে আমাদের কৃষি অফিস চাষীদের দোরগোরায় গিয়ে প্রতিকারের পরামর্শ দেবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।